বায়োডাটা খুঁজুন

বায়োডাটা খুঁজুন













তোমাদের মধ্যে যারা বিয়েহীন, তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও তারা যদি অভাবগ্রস্তও হয়,তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন।

সুরা আন নুর : আয়াত ৩২

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব ও ফজিলত

বিয়ে মানব জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ইসলামে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং ইসলামে নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের একমাত্র পবিত্র ব্যবস্থা হলো বিয়ে।
বিয়ে বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস এবং কোরানিক আয়াত তুলে ধরা হলো-

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিতদের বিবাহ করিয়ে দাও এবং তোমাদের সৎ ক্রীতদাস ও ক্রীতদাসীদেরও। যদি তারা দরিদ্র হয় তবে আল্লাহ তাঁর নিজ অনুগ্রহে ধনী বানিয়ে দিবেন।’ (সূরা নূর -৩২)।

আল্লাহপাক আরো বলেন, “ স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাক স্বরূপ আর তোমরা তাদের জন্য পোশাক স্বরূপ।” (সূরা বাকারা- ১৮৭) অর্থাৎ পোশাক যেমন করে মানব দেহকে সকল প্রকার নগ্নতা, অশ্লীলতা, কুশ্রীতা ইত্যাদি থেকে বাঁচিয়ে রাখে ঠিক তেমনি বিবাহর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরকে সেভাবে বাঁচিয়ে রাখে।

আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন – “আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও।আর তিনি তােমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে।” -(সূরা রূম: ২১)

বিয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অনেক হাদীস পাওয়া যায় তাদের মধ্যে থেকে কিছু উল্লেখ করা হল –

“যে ব্যক্তি বিয়ে করল তার অর্ধেক দিন-ঈমান পূর্ণ হয়ে গেল, সে যেন বাকি অর্ধেকের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে”। বায়হাকী, শু’আবুল ঈমান – ৫৪৮৬
“বিবাহ করা আমার সুন্নাত। যে আমার সুন্নাত অনুসরণ করলো না,সে আমার দলভুক্ত নয়।তোমরা বিয়ে করো,কেননা (হাশরে) আমি তােমাদের নিয়ে অন্যান্য উম্মাতের উপর গর্ব করবো।” (ইবনু মাজাহ – ১৮৪৬)
“হে যুবক সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ে করার সামর্থ রাখে, সে যেন বিয়ে করে। কেননা বিয়ে দৃষ্টি ও লজ্জাস্থান হিফাযাতের জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়ক। আর যে সামর্থ রাখে না সে যেন সওম পালন করে, কেননা সওম যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী।” (মুসলিম – ৩৪৬৪)
“তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহর দায়িত্ব। আল্লাহর পথের মুজাহিদ, যে ধার গ্রহীতা তা পরিশোধের চেষ্টা করে এবং যে ব্যক্তি সততা বজায় রাখার জন্য (চরিত্র হিফাযাতের জন্য) বিয়ে করে।” (তিরমিযী ১৬৫৫)

জীবনসঙ্গী নির্বাচন সম্পর্কে কিছু আয়াত এবং হাদিস তুলে ধরা হলো-

কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা বিয়ে করো সেই স্ত্রীলোককে, যাদের তোমাদের ভালো লাগে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে আত্মিক ও ঈমানের সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিতে বলেছেন।তিনি বলেন, ‘নারীদের চারটি গুণ দেখে বিয়ে করো : তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী।তবে তুমি দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেবে। নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৯০)

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের নিকট কোনো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের যদি পছন্দ হয়,তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করো। অন্যথা জমিনে বড় বিপদ দেখা দেবে এবং সুদূরপ্রসারী বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৮৪-৮৫)

“তোমরা নারীদের (কেবল) রূপ দেখে বিবাহ করো না। হতে পারে রূপই তাদের বরবাদ করে দেবে। তাদের অর্থ-সম্পদ দেখেও বিবাহ করো না, হতে পারে অর্থ-সম্পদ তাকে উদ্ধত করে তুলবে।বরং দ্বীন দেখেই তাদের বিবাহ কর। একজন নাক-কান-কাটা অসুন্দর দাসীও (রূপসী ধনবতী স্বাধীন নারী অপেক্ষা) শ্রেয়, যদি সে দ্বীনদার হয়। “(ইবনে মাজাহ)

“সমগ্র দুনিয়াটাই সম্পদ। এর মধ্যে সবচাইতে উত্তম সম্পদ হলো পরহেযগার স্ত্রী। “(মুসলিম – ৩৭১৬)

উপরিউক্ত উল্লিখিত হাদিস সমূহের শিক্ষা হল, পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে দ্বীনদারী ও সচ্চরিত্রকে সবার উপরে রাখতে হবে। সৌন্দর্য, অর্থ-সম্পদ ও বংশীয় সমতাও বিচার্য হবে, কিন্তু সবগুলো দ্বীনদারীর পরবর্তী স্তরে।যদি আপনি এই বিষয়টা মাথায় রেখে পাত্র/পাত্রী খোজ করেন,তাহলে ইংশাআল্লাহ জীবনটা জান্নাত হয়ে যাবে।আমাদের সাইট আপনাকে দ্বীনদার সংগী পেতে সহায়তা করবে ইংশা আল্লাহ।

জীবনসঙ্গী নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা

জীবনসঙ্গী নির্বাচন সম্পর্কে কিছু আয়াত এবং হাদিস তুলে ধরা হলো

কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা বিয়ে করো সেই স্ত্রীলোককে, যাদের তোমাদের ভালো লাগে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে আত্মিক ও ঈমানের সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিতে বলেছেন।তিনি বলেন, ‘নারীদের চারটি গুণ দেখে বিয়ে করো : তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী।তবে তুমি দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেবে। নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৯০)

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের নিকট কোনো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের যদি পছন্দ হয়,তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করো। অন্যথা জমিনে বড় বিপদ দেখা দেবে এবং সুদূরপ্রসারী বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৮৪-৮৫)

“তোমরা নারীদের (কেবল) রূপ দেখে বিবাহ করো না। হতে পারে রূপই তাদের বরবাদ করে দেবে। তাদের অর্থ-সম্পদ দেখেও বিবাহ করো না, হতে পারে অর্থ-সম্পদ তাকে উদ্ধত করে তুলবে।বরং দ্বীন দেখেই তাদের বিবাহ কর। একজন নাক-কান-কাটা অসুন্দর দাসীও (রূপসী ধনবতী স্বাধীন নারী অপেক্ষা) শ্রেয়, যদি সে দ্বীনদার হয়। “(ইবনে মাজাহ)

“সমগ্র দুনিয়াটাই সম্পদ। এর মধ্যে সবচাইতে উত্তম সম্পদ হলো পরহেযগার স্ত্রী। “(মুসলিম – ৩৭১৬)

উপরিউক্ত উল্লিখিত হাদিস সমূহের শিক্ষা হল, পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে দ্বীনদারী ও সচ্চরিত্রকে সবার উপরে রাখতে হবে। সৌন্দর্য, অর্থ-সম্পদ ও বংশীয় সমতাও বিচার্য হবে, কিন্তু সবগুলো দ্বীনদারীর পরবর্তী স্তরে।যদি আপনি এই বিষয়টা মাথায় রেখে পাত্র/পাত্রী খোজ করেন,তাহলে ইংশাআল্লাহ জীবনটা জান্নাত হয়ে যাবে।আমাদের সাইট আপনাকে দ্বীনদার সংগী পেতে সহায়তা করবে ইংশা আল্লাহ।

লগইন/সাইনআপ করতে নিচের বাটনে চাপ দিন